বরিশালের কাজীরহাট থানার পোলতাতলী চরলতা টু জয়নগর রহমানের হাট রাস্তার মাথা যাত্রী ছাউনী ভায়া চুনারচর একতা বাজার খোয়াঘাটের ইজারা নেয়া হলেও বুঝে পাচ্ছে না ঠিকাদার মো. আবুল হোসেন কবিরাজ। খেয়াঘাটটি ইজারার লক্ষ্যে তার প্রদত্ত ইজারা মূল্য ১ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা সর্বোচ্চ হওয়ায় জেলা পরিষদ গৃহীত হওয়ায় ইজারাদার সম্পূর্ণ টাকা জমা দেওয়ায় উক্ত খেয়াঘাটটি ১লা বৈশাখ ১৪২৮ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ইজারা পায় ঠিকাদার।
জেলা পরিষদ থেকে খেয়াঘাটটির ইজারা পেলেও এখন পর্যন্ত তা বুঝে পাচ্ছেন না ইজারাদার। জানা গেছে কাজীরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক খেয়া ঘাটটি দখল করে রেখেছেন। এ বিষয়ে ইজারাদার মো. আবুল হোসেন কবিরাজ গত ১৭ মে কাজীরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন সহ আরও ৯ জনকে আসামী করে কাজীরহাট থানায় লিখিত আবেদন করেন।
এছাড়াও বরিশাল জেলা পরিষদ এর প্রধান নির্বাহী ইজারাদারের সংযুক্ত আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার জন্য কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন পাঠান। লিখিত আবেদনে উল্লেখ্য করেন, আসামীগন ইজারাদারের নিকট চাঁদা দাবী সহ ইজারাকার্যক্রমে অবৈধ ভাবে বাধা প্রধান করতেছে। এবং দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ খেয়াঘাটটি দখলে রেখে সরকারের প্রায় ১২ লক্ষ টাকা রাজস্বের ক্ষতি করেছে। এ সংক্রান্ত আবেদনের অনুলিপি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশাল পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করেন।
কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার জানান, আবেদনটি গ্রহন করা হয়েছে। তবে খেয়া ঘাটটির দুই পার দুই থানার অধীনে থাকায় কাজীরহাট অংশের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির হোসেন জানান, আমার নামে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি ইজারাদারকে ঘাট বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি কিছু দিন ঘাট পরিচালনা করে এখন এমন অভিযোগ করার মানে কি আমি জানি না। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দেয়ায় আমিও আইনের আশ্রয় নিবো।